নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বরিশাল নগরীতে এক প্রবাসীর কাছে চাঁদা দাবীর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ঐ প্রবাসী বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানায় একটি সাধারন ডায়েরী করেছেন। ডায়েরী সূত্রে জানা যায়, নগরীর ২৩নং ওয়ার্ডের খান সড়ক নিবাসী মৃত আঃ মজিদ খানের ছেলে প্রবাসী মোঃ শাহিন খান আজাদের কাছে ৩লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করেন একই এলাকার মোঃ আলী হায়দার সিকদার। আলী সিকদার প্রবাসী শাহীন খান আজাদের ব্যবহৃত মুঠোফোনে এ চাঁদা দাবী করে।
মাদক মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী হায়দার চাঁদা দাবীর পাশাপাশি দুটি শর্ত জুড়ে দিয়েছেন। এছাড়া হায়দার তার স্ত্রী রোজী বেগমকে দিয়ে নতুন ফাঁদ পেতেছেন। এ ঘটনায় গত ২২ এপ্রিল ভুক্তভোগী প্রবাসী আজাদ কোতয়ালী মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী দায়ের করেন (নং ১১৯৩)। ডায়েরী সূত্রে আরও জানা যায়, প্রবাসী মোঃ শাহিন খান আজাদ ২৩নং ওয়ার্ডের খান সড়কে ২০১৭ সালে ৬শতাংশ জমি ক্রয় করে বসবাস করে আসছিলেন। গত ৭/৮ মাস পূর্বে মাদক ব্যবসায়ী আলী হায়দার তার স্ত্রী রোজী বেগমকে নিয়ে তার জমিতে ছাপরার ঘর তুলে থাকতে দেয়ার জন্য অনুরোধ করেন। এর প্রেক্ষিতে মানবিক কারণে শাহিন খান তার জমিতে হায়দারকে থাকতে অনুমতি দেন।
এরপর তিনি বিদেশ চলে গেলে এ সুযোগে হায়দার ও তার স্ত্রী মাদক ব্যবসা শুরু করে। শাহিন খান হায়দারের মাদক ব্যবসার কথা জানতে পেরে তাকে ওই জমি থেকে চলে যেতে বলেন। এতে ক্ষীপ্ত হয় মাদক ব্যবসায়ী হায়দার। যার ধারবাহিকতায় গত ১৯ ফেব্রুয়ারী শাহিন খানের স্ত্রী ওই জমিতে কাজ করতে গেলে তাতে বাঁধা দেয় হায়দার ও তার স্ত্রী। ফলে কাজ বন্ধ করে শাহিনের স্ত্রী চলে আসতে বাধ্য হন। ২০ ফেব্রুয়ারী শাহিন খান দেশে এসে পুনরায় তাদেরকে চলে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। গত শুক্রবার জুম্মার নামাজের পূর্বে শাহিন খান ওই ছাপরার ঘর ভেঙে সেখানে ভবন নির্মাণ করতে যান।
এ সময় হায়দার সেখান থেকে যেতে না চাইলেও তার স্ত্রী মালামাল নিয়ে চলে গিয়ে অন্যত্র বাসা ভাড়া করেন। কিন্তু রাত সাড়ে ১০টার দিকে হায়দারের স্ত্রী রোজী নিজ হাত কেটে তাকে মারধর করার মিথ্যা অভিযোগ তুলেন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শাহিন খান আজাদ জানান, ওই মাদক ব্যবসায়ী হায়দার তাকে খুন জখমের হুমকি দেয়ার পাশাপাশি নারী নির্যাতন করার হুমকি দেয়। তিনি আরো জানান, হায়দার তার কাছে ৩ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে এবং যদি চাঁদার টাকা না দেয় তাহলে হায়দারের বিরুদ্ধে যতগুলো মাদক মামলা রয়েছে তা নিস্পত্তির জন্য চাপ দেয়। শাহিন খান আজাদ আরও জানান, হায়দার সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর রেশমী বেগমের স্বামী সরদার মোঃ সৈয়দ শাহ্ এর ছত্রছায় আমার বিরুদ্ধে এসব করতেছে, যাতে করে আমি বিদেশে যেতে না পারি তাই তারা এসব কাজ করতেছে।
একজন জনপ্রতিনিধির স্বামী কিভাবে এরকম কাজে সহযোগীতা করেন তা আমার বোধগম্য নয়। এব্যাপারে জানতে চাইলে সরদার মোঃ সৈয়দ শাহ্ জানায়, জমিটির বায়নার সময় আলী হায়দারের সাথে আমি ছিলাম তবে আমার ছত্রছায়ায় আলী হায়দার এসব করতেছে এই কথাটি ঠিক না, এবং আলী হায়দারের বিরুদ্ধে যে মাদক মামলার কথা বলা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। তিনি আরও জানায়, আমি যতটুকু জানি আলী হায়দারের বিরুদ্ধে শুধু মাত্র বকেয়া বিদ্যুত বিলের কারনে একটি মামলা রয়েছে। এদিকে এ ঘটনায় প্রশাসনের কাছে সহযোগীতা কামনা করেছেন ভুক্তভোগী প্রবাসী শাহীন খান আজাদ।
Desing & Developed BY EngineerBD.Net
Leave a Reply